হানাফী মতে প্রত্যেক নামাযী চাই ইমাম হোক বা মুকতাদী হোক অথবা একাকী হোক, আর প্রকাশ্য নামায হোক কিংবা গোপন হোক, আমীন আস্তে বলবে। কিন্তু মাযহাব অস্বীকারকারী ওয়াহাবীদের মতে প্রকাশ্য নামাযে (ফজর, মাগরীব, এশা, জুমা ইত্যাদি) ইমাম ও মুকতাদী উচ্চস্বরে চিৎকার করে আমীন বলবে। নিম্নে ইহার দলীলসহ আলোচনা করা হলঃ-
আস্তে আমীন বলা আল্লাহ তা’আলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হুকুম সম্মত। চিৎকার করে আমীন বলা কুরআনে করীমেরও পরিপন্থী। আর হাদীস ও সুন্নাতেরও বীরোধী। দলীলগুলো নিম্নরূপঃ
রব তা’আলা বলেন-
اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّ عًا وَّخفْيَةً অথাৎ স্বীয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো বিনয়ের সাথে এবং নীচস্বরে বলা উচিত।
আমীন ও দোয়া। তাই এটাও নীচ বলা উচিত। রব তায়ালা বলেন-
আস্তে আমীন বলা আল্লাহ তা’আলা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হুকুম সম্মত। চিৎকার করে আমীন বলা কুরআনে করীমেরও পরিপন্থী। আর হাদীস ও সুন্নাতেরও বীরোধী। দলীলগুলো নিম্নরূপঃ
রব তা’আলা বলেন-
اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّ عًا وَّخفْيَةً অথাৎ স্বীয় প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো বিনয়ের সাথে এবং নীচস্বরে বলা উচিত।
আমীন ও দোয়া। তাই এটাও নীচ বলা উচিত। রব তায়ালা বলেন-
وَاِذَا سَألَكَ عِبَادِى عَنِّىْ فَاِنِّىْ قَرِيْبٌ اُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ
অর্থাৎ হে মাহবুব! যখন আপনার কাছে আমার বান্দারা আমার সম্পর্কে জানতে চায়, তখন আমি অত্যন্ত কাছেই। আমি আহবানকারীর আহবানে সাড়া দেই যখন সে আমার কাছে প্রার্থনা করে।
বুঝা গেল চিৎকার করে তার কাছেই প্রর্থনা করতে হয় যিনি আমাদের কাছ থেকে দূরে। রব তায়ালা তো আমাদের শাহরগের চেয়েও অতি নিকটে। তাই আমীন চিৎকার দিয়ে বলা নিরর্থক। বরং কুরআনী শিক্ষার পরিপন্থী। এ জন্য যে আমীন হলো দোয়া বিশেষ।
হাদীস নং১-৮ ইমাম বোখারী, মুসলিম আহমদ, মালিক, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, প্রমুখ হযরত আবু হোরায়রা (রাদিঃ) হতে বর্ণনা করেন-
রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যখন ইমাম `আমীন’ বলবে তখন তোমরাও `আমীন’ বলবে। কেননা যার `আমীন’ বলা ফিরিশতাদের আমীন এর সাথে মিলে যাবে তার অতীতের পাপ ক্ষমা করা হবে।
এ হাদিছ দ্বারা বুঝা গেল পাপ মার্জনা ঐ নামাযীর জন্যে যার ‘আমীন’ ফিরিশতাদের আমীনের মত হয়। আর স্পষ্ট ব্যাপার হলো যে, ফিরিশতারা নীচু স্বরে আমীন বলে। আমরা তাদের আমীন আজ পর্যন্ত শুনিনি। তাহলে উচিত হলো যে আমাদের `আমীনও’ আস্তে হওয়া যাতে ফিরিশতাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং গুনাহগুলো মাফ হয়। যে লা-মাযহাবীরা চিৎকার দিয়ে আমীন বলে তারা যেভাবে মসজিদে আসে তেমনিভাবেই মসজিদ থেকে চলে যায়। তাদের গুনাহগুলো মাফ হয় না। কেননা তারা ফিরিশতাদের আমীন এর বিরোধীতা করেছে।
হাদিছ নং ৯-১০: ইমাম বোখারী, শাফেয়ী, মালিক, আবু দাউদ, নাসায়ী প্রমুখ হযরত আবু হোরায়রা )রাদিঃ( থেকে বর্ণনা করেন-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন ইমাম ‘আমীন’ বলবে غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ তখন তোমরাও বলো ‘আমীন’। কেননা যার ‘আমীন’ বলা ফিরিশতাদের ‘আমীন’ এর সাথে মিলে যাবে তার আগেকার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে।
এ হাদীস দ্বারা দুটো মাসআলা জানা গেলো। এক মুকতাদী ইমামের পিছে কখনো সূরা ফাতিহা পড়বেনা। আর যদি মুকতাদী পড়তো তাহলে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলতেন, যখন তোমরা وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবে তখন ‘আমীন’ বলবে। বুঝা গেলো মুক্তাদি শুধুমাত্র আমীন বলবে। وَ لَا الضَّا لِّيْنَ বলা ইমামের কাজ। রব তাআলা বলেন।
বুঝা গেল চিৎকার করে তার কাছেই প্রর্থনা করতে হয় যিনি আমাদের কাছ থেকে দূরে। রব তায়ালা তো আমাদের শাহরগের চেয়েও অতি নিকটে। তাই আমীন চিৎকার দিয়ে বলা নিরর্থক। বরং কুরআনী শিক্ষার পরিপন্থী। এ জন্য যে আমীন হলো দোয়া বিশেষ।
হাদীস নং১-৮ ইমাম বোখারী, মুসলিম আহমদ, মালিক, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, প্রমুখ হযরত আবু হোরায়রা (রাদিঃ) হতে বর্ণনা করেন-
রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যখন ইমাম `আমীন’ বলবে তখন তোমরাও `আমীন’ বলবে। কেননা যার `আমীন’ বলা ফিরিশতাদের আমীন এর সাথে মিলে যাবে তার অতীতের পাপ ক্ষমা করা হবে।
এ হাদিছ দ্বারা বুঝা গেল পাপ মার্জনা ঐ নামাযীর জন্যে যার ‘আমীন’ ফিরিশতাদের আমীনের মত হয়। আর স্পষ্ট ব্যাপার হলো যে, ফিরিশতারা নীচু স্বরে আমীন বলে। আমরা তাদের আমীন আজ পর্যন্ত শুনিনি। তাহলে উচিত হলো যে আমাদের `আমীনও’ আস্তে হওয়া যাতে ফিরিশতাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় এবং গুনাহগুলো মাফ হয়। যে লা-মাযহাবীরা চিৎকার দিয়ে আমীন বলে তারা যেভাবে মসজিদে আসে তেমনিভাবেই মসজিদ থেকে চলে যায়। তাদের গুনাহগুলো মাফ হয় না। কেননা তারা ফিরিশতাদের আমীন এর বিরোধীতা করেছে।
হাদিছ নং ৯-১০: ইমাম বোখারী, শাফেয়ী, মালিক, আবু দাউদ, নাসায়ী প্রমুখ হযরত আবু হোরায়রা )রাদিঃ( থেকে বর্ণনা করেন-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- যখন ইমাম ‘আমীন’ বলবে غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ তখন তোমরাও বলো ‘আমীন’। কেননা যার ‘আমীন’ বলা ফিরিশতাদের ‘আমীন’ এর সাথে মিলে যাবে তার আগেকার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে।
এ হাদীস দ্বারা দুটো মাসআলা জানা গেলো। এক মুকতাদী ইমামের পিছে কখনো সূরা ফাতিহা পড়বেনা। আর যদি মুকতাদী পড়তো তাহলে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলতেন, যখন তোমরা وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবে তখন ‘আমীন’ বলবে। বুঝা গেলো মুক্তাদি শুধুমাত্র আমীন বলবে। وَ لَا الضَّا لِّيْنَ বলা ইমামের কাজ। রব তাআলা বলেন।
اِذَا جَاءَ كُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوْهُنَّ
অর্থাৎ, ‘যখন তোমাদের কাছে মু’মিনা নারী দেশত্যাগ করে আসবে তখন তোমরা তাদের পরীক্ষা নাও।
দেখো! পরীক্ষা নেয়া শুধুমাত্র মু’মিনদের কাজ; মু’মিনা নারীদের কাজ নয়। কোন হাদীসের মধ্যে আসে নি যে,
اِذَا قُلْتُمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ فَقُوْلُوْا أمِيْنَ অর্থাৎ, ‘যখন তোমারা وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবে তখন اَمِيْنَ বলো। বুঝা গেল মুকতাদী وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবেই না।
দ্বিতীয়ত: এই যে, ‘আমীন’ আস্তে হওয়া উচিত। কেননা ফিরিশতাদের আমীন নীচু স্বরেই হয়। যা আজ পর্যন্ত আমরা শুনতে পায়নি। স্মর্তব্য যে, এখানে ফিরিশতাদের আমীন এর সামঞ্জস্যতা বলতে সময়ের সাথে সামঞ্জস্যতা নয় বরং আদায় করার পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যতা বুঝানো হয়েছে। ফিরিশতাদের আমীন এর সময়ওতো ওটাই যে যখন ইমাম সূরা ফাতিহার তিলাওয়াত শেষ করে। কেননা আমাদের পাহারাদার ফিরিশতারা আমাদের সাথেই নামাযে অংশগ্রহণ করে এবং ঐ সময় আমীন বলে।
হাদীস নং-১৪-১৮: ইমাম আহমদ, আবূ দাউদ, ত্বায়ালুসী, আবুইয়ালা, মুছিলী, তাবরানী, দারু কুত্বনী এবং হাকিম স্বীয় মুসতাদরাকে হযরত ওয়াইল ইবনে হাজর থেকে বর্ণনা করেন হাকিম বলেন যে, এ হাদীস এর ইসনাদ পুরোটাই সহীহ:
হযরত ওয়াইল ইবনে হাজর থেকে বর্ণিত- তিনি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সাথে নামায পড়েছেন। যখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّلِّيْنَ পর্যন্ত পৌছলেন তখন তিনি বললেন, ‘আমীন’ আর ‘আমীন’ এ আওয়াজ ছোট রাখলেন।
বুঝা গেল যে আমীন নীচু স্বরে বলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সুন্নাত। উচু আওয়াজে বলা সুন্নাতের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
হাদীস নং-১৯-২১: আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনু আবি শায়বা প্রমুখ হযরত ওয়াইল ইবনে হাজর থেকে বর্ণনা করেছেন:
দেখো! পরীক্ষা নেয়া শুধুমাত্র মু’মিনদের কাজ; মু’মিনা নারীদের কাজ নয়। কোন হাদীসের মধ্যে আসে নি যে,
اِذَا قُلْتُمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ فَقُوْلُوْا أمِيْنَ অর্থাৎ, ‘যখন তোমারা وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবে তখন اَمِيْنَ বলো। বুঝা গেল মুকতাদী وَلَا الضَّالِّيْنَ বলবেই না।
দ্বিতীয়ত: এই যে, ‘আমীন’ আস্তে হওয়া উচিত। কেননা ফিরিশতাদের আমীন নীচু স্বরেই হয়। যা আজ পর্যন্ত আমরা শুনতে পায়নি। স্মর্তব্য যে, এখানে ফিরিশতাদের আমীন এর সামঞ্জস্যতা বলতে সময়ের সাথে সামঞ্জস্যতা নয় বরং আদায় করার পদ্ধতির সাথে সামঞ্জস্যতা বুঝানো হয়েছে। ফিরিশতাদের আমীন এর সময়ওতো ওটাই যে যখন ইমাম সূরা ফাতিহার তিলাওয়াত শেষ করে। কেননা আমাদের পাহারাদার ফিরিশতারা আমাদের সাথেই নামাযে অংশগ্রহণ করে এবং ঐ সময় আমীন বলে।
হাদীস নং-১৪-১৮: ইমাম আহমদ, আবূ দাউদ, ত্বায়ালুসী, আবুইয়ালা, মুছিলী, তাবরানী, দারু কুত্বনী এবং হাকিম স্বীয় মুসতাদরাকে হযরত ওয়াইল ইবনে হাজর থেকে বর্ণনা করেন হাকিম বলেন যে, এ হাদীস এর ইসনাদ পুরোটাই সহীহ:
হযরত ওয়াইল ইবনে হাজর থেকে বর্ণিত- তিনি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সাথে নামায পড়েছেন। যখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّلِّيْنَ পর্যন্ত পৌছলেন তখন তিনি বললেন, ‘আমীন’ আর ‘আমীন’ এ আওয়াজ ছোট রাখলেন।
বুঝা গেল যে আমীন নীচু স্বরে বলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর সুন্নাত। উচু আওয়াজে বলা সুন্নাতের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
হাদীস নং-১৯-২১: আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনু আবি শায়বা প্রমুখ হযরত ওয়াইল ইবনে হাজর থেকে বর্ণনা করেছেন:
قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ فَقَالَ اَمِيْنَ وَخَفَضَ بِهِ صَوْتَهُ
তিনি বলেন আমি শুনেছি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম পড়েছেন-غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ এর পর বললেন أمِيْنَ এবং তাতে আওয়াজ ছোট রাখলেন।
হাদীস নং২২-২৩: তাবরানী ‘তাহযীবুল আছার’ এ এবং তাহাবী হযরত ওয়াইল বিন হাজর থেকে বর্ণনা করেন:
তিনি বলেন হযরত ওমর ও আলী (রাদ্বিআল্লাহু আনহুমা) না বিসমিল্লাহ উচ্চ স্বরে পড়তেন, না আমীন ।
বুঝা গেল নীচুস্বরে বিসমিল্লাহ পড়াজ সাহাবায়ে কেরামেরও সুন্নাত।
হাদীস নং-২৪: হেদায়ার ব্যাখ্যাকার আইনী হযরত আবূ মা মার (রাদ্বি) থেকে বর্ণনা করেছেন:
হাদীস নং২২-২৩: তাবরানী ‘তাহযীবুল আছার’ এ এবং তাহাবী হযরত ওয়াইল বিন হাজর থেকে বর্ণনা করেন:
তিনি বলেন হযরত ওমর ও আলী (রাদ্বিআল্লাহু আনহুমা) না বিসমিল্লাহ উচ্চ স্বরে পড়তেন, না আমীন ।
বুঝা গেল নীচুস্বরে বিসমিল্লাহ পড়াজ সাহাবায়ে কেরামেরও সুন্নাত।
হাদীস নং-২৪: হেদায়ার ব্যাখ্যাকার আইনী হযরত আবূ মা মার (রাদ্বি) থেকে বর্ণনা করেছেন:
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللهُ عَنْهَ قَالَ يُخْفِى الْاِمَامُ اَرْبَعًا اَلتَّعُوْذُ وَبِسْمِ اللهِ وَاَمِيْنَ وَرَبَّنَالَكَ الْحَمْدُ
হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন ইমাম চারটি বিষয় নীচু স্বরে বলবেঃ আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ আমীন এবং রাব্বানা লাকাল হামদ।
হাদীস নং২৫: বায়হাক্বী হযরত আবূ ওয়াইল থেকে বর্ণনা করেন: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বি) বলেন:
হাদীস নং২৫: বায়হাক্বী হযরত আবূ ওয়াইল থেকে বর্ণনা করেন: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বি) বলেন:
عَنْ عَبْدُ اللهِ قَالَ يُخْفِى الْاِمَامُ اَرْبَعًا بِسْمِ اللهِ وَ اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ وَالتَّعُوْذُ والتَّشَهُّدُ
ইমাম চারটি বিষয় নীচু স্বরে পড়বে বিসমিল্লাহ রাব্বানা লাকাল হামদ আউযু এবং আততাহিয়্যাত।
হাদীস নং-২৬: হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রাদ্বী.) হযরত হাম্মাদ থেকে উনারা হযরত ইবরাহীম নাখয়ী (রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেন:
হাদীস নং-২৬: হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রাদ্বী.) হযরত হাম্মাদ থেকে উনারা হযরত ইবরাহীম নাখয়ী (রাদ্বি.) থেকে বর্ণনা করেন:
قَالَ اَرْبَعٌ يُخْفِيْهِنَّ الْاِمَامُ اَلتَّعُوْذُ وَبِسْمِ اللهِ وَسُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ أمِيْنَ رَوَه مُحَمَّدُ فِى الْاَثَارِ وَعَبْدُ الرَّزَّاقُ فِى مُصَنِّفِهِ
অর্থাৎ তিনি বলেন ইমাম চারটি বিষয় নীচূ স্বরে পড়বে আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা এবং আমীন। এ হাদীস ইমাম মুহাম্মদ ‘আছার’ এ এবং আবদুর রাযযাক তার মুসান্নাফ এ বর্ণনা করেন।
বিবেকও চায় যে আমীন আস্তে বলা হোক। কেননা আমীন কুরআনে কারীমের আয়াত কিংবা কুরআনের শব্দ নয়। এ জন্যই তা না জিবরীল আমীন নিয়ে এসেছেন না কুরআনে কারীমে লেখা হয়েছে। বরং তা দু’আ এবং আল্লাহর যিকর।
সুতরাং যেমনিভাবে ‘ছানা’ ‘আততাহিয়্যাত’ ‘দরূদে ইবরাহীমি’ ‘দোআ’য়ে মাছুরাহ’ ইত্যাদি নীচু স্বরে পড়া হয় ঠিক তেমনিই ‘আমীনও’ নীচু স্বরে হওয়া উচিত।
এটা কেমন যে, সমস্ত যিকর নীচু স্বরে হয় আর আমীন এর ক্ষেত্রে সবাই চিৎকার দেয়। এ চিৎকার করাটা কোরআনেরও পরিপন্থী। সহীহ হাদীসসমূহ সাহাবায়ে কেরাম এবং সুস্থ জ্ঞানেরও বিরোধী। আল্লাহ তাআলা আমল করার তাওফীক দান করুন।
দ্বিতীয়ত, এজন্য যে যদি মুকতাদীর উপর সুরা ফাতিহাও পাড়া ফরয হয় এবং আমীন বলারও হুকুম হয় তাহলে যদি মুকাতাদী সূরা ফাতিহার মাঝখানে হয় আর ইমাম وَلَا الضَّالِّيْنَ পড়ে ফেলে তখন মুকতাদী যদি আমীন না বলে তাহলে সুন্নাতের পরিপন্থী হবে। আর যদি আমীন বলে এবং চিৎকার দিয়ে বলে তাহলে আমীন মাঝখানে হয়ে যাবে। কুরআনের মাঝখানে গায়রে কুরআন এসে যাবে এবং সূরা ফাতিহার মাঝখানে শোরগোল হবে। -সুত্রঃ জা’আল হক ৩য় খন্ড-
বিবেকও চায় যে আমীন আস্তে বলা হোক। কেননা আমীন কুরআনে কারীমের আয়াত কিংবা কুরআনের শব্দ নয়। এ জন্যই তা না জিবরীল আমীন নিয়ে এসেছেন না কুরআনে কারীমে লেখা হয়েছে। বরং তা দু’আ এবং আল্লাহর যিকর।
সুতরাং যেমনিভাবে ‘ছানা’ ‘আততাহিয়্যাত’ ‘দরূদে ইবরাহীমি’ ‘দোআ’য়ে মাছুরাহ’ ইত্যাদি নীচু স্বরে পড়া হয় ঠিক তেমনিই ‘আমীনও’ নীচু স্বরে হওয়া উচিত।
এটা কেমন যে, সমস্ত যিকর নীচু স্বরে হয় আর আমীন এর ক্ষেত্রে সবাই চিৎকার দেয়। এ চিৎকার করাটা কোরআনেরও পরিপন্থী। সহীহ হাদীসসমূহ সাহাবায়ে কেরাম এবং সুস্থ জ্ঞানেরও বিরোধী। আল্লাহ তাআলা আমল করার তাওফীক দান করুন।
দ্বিতীয়ত, এজন্য যে যদি মুকতাদীর উপর সুরা ফাতিহাও পাড়া ফরয হয় এবং আমীন বলারও হুকুম হয় তাহলে যদি মুকাতাদী সূরা ফাতিহার মাঝখানে হয় আর ইমাম وَلَا الضَّالِّيْنَ পড়ে ফেলে তখন মুকতাদী যদি আমীন না বলে তাহলে সুন্নাতের পরিপন্থী হবে। আর যদি আমীন বলে এবং চিৎকার দিয়ে বলে তাহলে আমীন মাঝখানে হয়ে যাবে। কুরআনের মাঝখানে গায়রে কুরআন এসে যাবে এবং সূরা ফাতিহার মাঝখানে শোরগোল হবে। -সুত্রঃ জা’আল হক ৩য় খন্ড-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন